ঘূর্ণিঝড় হান্নার প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। হান্না ছাড়াও ডোগলাস এবং গোনজালো নামে যুক্তরাষ্ট্রে আরও দু’টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে যাচ্ছে। এমনটাই জানা গেছে বিশ্ব সংবাদ মাধ্যম বিবিসি, সিএনএন এর খবরে।
ট্রেক্সাস প্রশাসন ঘুর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তারা এও বলেছেন যে, হান্নার প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৩২টি কাউন্টিতে দুর্যোগের সতর্কতা জারি করেছেন অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট। করোনাভাইরাসের কারণে জরুরি সেবাদান বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
স্থানীয় সময় শনিবার পেডরে দ্বীপপুঞ্জে হান্নার প্রভাবে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার।
হান্নাকে ক্যাটাগরি এক মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্যোগের সময় লোকজনকে জরুরি বিভাগের দেওয়া নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ডগলাস। ক্যাটাগরি ৩-এর প্রবল শক্তিধর ঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ মাইল (প্রায় ১৯৩ কিলোমিটার/ঘণ্টা) এবং কেন্দ্র থেকে অন্তত ২৫ মাইল বিস্তৃত হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, রোববার হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। এসময় শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়া, ভয়ঙ্কর ঢেউ এবং ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে ওই এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় ডগলাস এই মুহূর্তে হিলো দ্বীপ থেকে ৮৯৫ মাইল পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে রয়েছে এবং সেটি সোজাসুজি হাওয়াইয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, যাত্রাপথে শীতল পানি ও উষ্ণ বাতাসের সংস্পর্শে আসায় ঝড়টির শক্তি কমতে শুরু করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রশাসন দুর্যোগ পরিস্থিতি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।